-: মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ - Death Benefit :-
বাংলাদেশ শ্রম আইনের ধারা-১৯ অনুযায়ী কোন কর্মীকে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ খুব ভাল ভাবে বুঝতে হলে আপনাকে চারটি জিনিস ভাল ভাবে লক্ষ্য করতে হবে।১। কর্মীর চাকুরীর বয়স ২ বছরের বেশি হতে হবে।
২। চাকুরীরত থাকাকালীন অবস্থায় মৃত্যুবরন।
৩। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরন।
৪। কর্মকালীন দুর্ঘটনার কারনে পরর্বতীতে মৃত্যুবরন।
প্রথমত, আপনাকে বুঝতে হবে, কে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ পাবে এবং কে পাবে না?
যে ব্যক্তির চাকুরীর বয়স অবিচ্ছিন্নভাবে অন্তত ২ বছরের অধিকাল হয়েছে তিনিই শ্রম আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ পাইবার অধিকারী হইবেন।চাকুরীর বয়স যদি কোন কারনে ২ বছরের বেশি না হয়, কোন ভাবেই ১৯ ধারার ক্ষতিপূরণ পাবে না।
প্রথম শর্তপূরন হলে, আপনাকে অন্য তিনটি শর্ত বিবেচনায় আনতে হবে।
১। চাকুরীরত থাকা অবস্থায়।
চাকুরীরত ব্যপারটা কি আসলে?
আপনি একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন কিন্তু আপনি কর্মঘন্টার বাহিরে বা ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে যে কোন ভাবে মারা গেলে।
প্রতিবছর বা ছয় মাসের অধিক সময়ের কাজের জন্য ১ টি করে বেসিক পাবে আপনার পোষ্য।
২। কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরন।
আপনি একজন কর্মী কর্ম ঘন্টার মধ্যে কর্মস্থালে বা কর্মস্থলের বাহিরে অফিসের কাজে থাকা অবস্থায় যে কোন ভাবে মৃত্যুবরন করলে।
আপনার পোষ্যরা প্রতিবছর বা ছয় মাসের অধিক সময় কাজের জন্য ৪৫ দিন করে মজুরি পাবেন।
৩। কর্মকালীন দুর্ঘটনা কারনে পরর্বতীতে মৃত্যুবরন।
আপনি একজন কর্মী কাজ করতে গিয়ে আহত হলেন এবং পরর্বতীতে ১ বা ২ মাস পরে মারা গেলেন।
আপনার পোষ্য ৬ মাস বা ১ বছর কাজের জন্য ৪৫ দিন করে মজুরী পাবেন।
সবার শেষে আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে এই লাইনটি:
"এই অর্থ মৃত শ্রমিক চাকুরী হইতে অবসর গ্রহন করিলে যে অবসরজনিত সুবিধা প্রাপ্ত হইতেন, তাহার অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হইবে।"
তার অর্থ হল একজন মৃত শ্রমিকের পোষ্য ১৯ ধারার ক্ষতিপূরণ পাইবেন এবং তার অতিরিক্ত হিসাবে শ্রম আইনের ধারা-২৮ অনুযায়ী প্রতিবছর কাজের জন্য ১টি করে বেসিক পাইবেন।