বসদের যে ভুলের কারনে যোগ্য কর্মীরা চাকুরী থেকে চলে যায়
1.বাড়তি কাজঃ দক্ষ কর্মীরা যতটুকু কাজ করেন তা গুনগত মানসম্পন্ন হয়। একারেনে বিভাগীয় প্রধান তাদের দিয়ে সব সময় বাড়তি কাজ করিয়ে নিতে চান। তখন কর্মীদের কাছে পারদর্শিতা শাস্তি হয়ে দাড়ায়। স্ট্যানফোর্ড্ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, নির্দিষ্ট সময়ের পর থেকে বাড়তি প্রতি ঘন্টার কাজে উৎপাদনশীলতা কমতে থাকে। কাজেই দক্ষদের দিয়ে বেশি বেশি কাজ করিয়ে লাভ নেই।
2.প্রতিদান না দেওয়াঃ দক্ষ কর্মীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে পাওনাটাও অন্যদের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। নয়তো মেধা বা প্রতিভার মূল্য কোথায়? কিন্তু যখন তারা আর সবার মতই বিবেচিত হন, তখন চলে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।
3.ভালো-মন্দ না দেখাঃ সাধারনত চাকুরী ছেড়ে চলে যাওয়ার মূল কারণটি হয় বসের সাথে সুসর্ম্পক না থাকা। যেসব বস কর্মীদের সফলতায় আনন্দিত হন না অথবা সমস্যায় সমাধানের পথ দেখাতে এগিয়ে আসেন না, তাদের অধীনে কোন কর্মীই কাজ করতে চান না।
4.প্রতিশ্রুতি পালন না করাঃ ভাল কর্মীদের কাজে সন্তুষ্ট হয়ে অনেক বসই নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু মুখের কথা শেষ পর্যন্ত কথাই থেকে যায়। এ ক্ষেত্রে বসদের উপর আস্থা হারান তারা। অবিশ্বস্ত বসদের অধীনে নিরাপত্তাবোধ করেন না কোন কর্মী।
5.ভুল মানুষকে প্রমোশন দেওয়াঃ পরিশ্রমী কর্মীরা কিছুটা বেশি পাওয়ার দাবি রাখেন। কিন্তু অনেক সময়ই বসরা তাদের এড়িয়ে ভুল মানুষদের প্রমোশন দেন। এতে যোগ্য কর্মীদের মাঝে হতাশা চলে আসে। তারা কাজের স্বীকৃতি পেতে অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যান।
6.কর্মীদের আবেগকে পাত্তা না দেওয়াঃ প্রত্যেক কর্মীর নিজস্ব পচন্দ এবং প্রয়োজন রয়েছে। এগুলো বসের কাছে নিগৃহীত হলে কর্মীদের অহংবোধে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের উৎপাদনশীলতা কমতে থাকে। যারা সবসময় নিয়ম পালন করেও আবেগ লালনে বাধাপ্রাপ্ত হন, তাদের কাছে কাজের পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠে।
7.কর্মীদের দক্ষতাকে হেয় করাঃ লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ্ হলে জবাবদিহির ক্ষেত্রে অনেক সময় বসরা কর্মীর উপর দোষ চাপিয়ে দেন। তাদের বিশ্বস্ততা, দক্ষতা, যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই অনৈতিক আচরণ কোন কর্মীর কাছেই গ্রহণযোগ্য হয় না।
8.সৃজনশীলতায় বাধা প্রদানঃ মনযোগী কর্মীরা যেখানেই হাত দেন, সেখানেই ভালো কিছু ঘটে। সৃজনশীল কর্মীদের এই অসাধারণ গুণের কদর না করলেই নয়। কিন্তু উল্টো হেয় প্রতিপন্ন হওয়া মোটেও কাম্য নয়। আর বিপরীতটা ঘটলেই কাজে বিতৃষ্ণা চলে আসে।
9.অযথা পীড়াদায়ক লক্ষ্য নির্ধারন করাঃ প্রত্যেক কর্মীর কর্ম্-ক্ষমতার সীমা রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় প্রাথমিক লক্ষ্য না দিয়ে বসরা অস্বাভাবিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন। আর তা অর্জনের কর্মীদের সুস্থ্য ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়া জরুরী মনে হয় কর্মীর কাছে।