পোশাক
শিল্প কারখানায় আগুন লাগলে করণীয়ঃ
এটি
খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে কারখানায় আগুন
লাগলে কি করতে হবে। আগুন
লাগলে ভয় পাবেন না
বা বিচলিত হবেন না। মনে
রাখবেন আগুন বাঘ বা
ভাল্লুক কিছূই নয়।
আগুন লাগতেই পারে, তবে
তা কমপক্ষে ১০/১৫ মিনিটের
আগে ছড়াবে না, যদি
উহা থিনার বা পেট্রোল
বা কোন তেলের আগুন
না হয়। অথচ
একটি ৮/১০ তলা
বা তারও অধিক ভবন
থেকে সকল শ্রমিক/কর্মচারী
নেমে যেতে ৫ মিনিটের
বেশী সময় লাগে না। প্রথমে
নিশ্চিত হন যে কারখানায়
সত্যিই আগুন লাগছে কি
না। যদি
লেগে থাকে, তবে কোথায়
লেগেছে তা ভাল করে
জানুন এবং তাড়াহুড়ো না
করে আস্তে আস্তে স্বাভাবিকের
চেয়ে একটু দ্রুত) নিকটস্থ
সিঁড়ি দিয়ে নীচে নেমে
যান।
কারখানায়
আগুন লাগলে নিম্নলিখিত কাজসমূহ
দ্রুত সম্পাদন করতে হবেঃ
(২) কারখানার
বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ
করতে হবে।
(৩) নিকটবর্তী
ফায়ার ষ্টেশন বা ফায়ার
সার্ভিস হেড কোয়ার্টারকে অগ্নি
দূর্ঘটনার বিষয়ে সঠিক ঠিকানা এবং তথ্য প্রদানপূর্বক অবগত
করাতে হবে। (ফায়ার
সার্ভিসের জরুরী নম্বর- ৯৫৫৫৫৫৫
অথবা ১০২)
(৪) কারখানায়
গঠিত (প্রশিক্ষিত) অগ্নি নির্বাপক দল
আগুন নেভানোর চেষ্টা করবে।
(৫) উদ্ধারকারীদল
কারখানার সকল ফ্লোরের শ্রমিক/কর্মচারীকে সুশৃংখলভাবে কারখানা থেকে বের হতে সাহায্য করবে এবং কারখানার ফ্লোরে কোথাও কোন
শ্রমিক/কর্মচারী আছে কি না
ভালভাবে খোঁজ করে দেখবে।
(৬) প্রাথমিক
চিকিৎসা দল দূর্ঘটনায় কোন
শ্রমিক/কর্মচারী আহত হলে তাকে
প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে
দ্রুত ডাক্তারের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা
করবে (যদি প্রয়োজন হয়)।
(৭) ফায়ার
সার্ভিস বিভাগকে আগুন কোথায় লেগেছে
এ বিষয়ে তথ্য দিতে
হবে, কারখানার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার (বৈদ্যুতিক স্থাপনা, কেমিক্যাল গোডাউন, জেনারেটর রূম, বয়লার রূম
ইত্যাদি) অবস্থান জানাতে হবে এবং আগুন নির্বাপনের কাজে সকল ধরণের
সহযোগিতা করতে হবে।
এখানে
উল্লেখ্য যে, কারখানায় আগুন
লাগলে করণীয় বিষয়ে সুস্পষ্ট
নির্দেশাবলী সম্বলিত ফায়ার সেফটি প্ল্যান
এবং ইভাকুয়েশন প্ল্যান থাকতে হবে।
প্রতি কারখানায় জরুরী দূর্ঘটনা মোকাবেলা
কমিটি গঠন করতে হবে
এবং নিয়মিত শ্রমিক/কর্মচারীদের
সমন্বয়ে আলোচনা সভা করতে
হবে।
কারখানা
থেকে জরুরী বহিঃগমনের উপর
প্রতি মাসে অন্ততঃ একবার
মহড়া অনুশীলন করতে হবে।
কারখানার প্রতি ১০০ জন
শ্রমিক/কর্মচারীর মধ্যে কমপক্ষে ১৮ জনকে
( অগ্নিপ্রতিরোধ, অগ্নি নির্বাপন, জরুরী
উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা
বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করাতে হবে। উক্ত
১৮ জনের মধ্যে ৬
জনের সমন্বয়ে অগ্নি নির্বাপক দল,
৬ জনের সমন্বয়ে উদ্ধারকারী
দল এবং ৬ জনের
সমন্বয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দল গঠন করতে
হবে এবং তাদেরকে সনাক্তকারী
পোশাক পরিধান করে থাকতে
হবে।