Salary preparation & disbursement policy - বেতন প্রস্তুত ও বিতরণ নীতিমালা

Salary-preparation-&-disbursement-policy

Salary preparation & disbursement policy:

বেতন প্রস্তুত ও বিতরণ নীতিমালাঃ


কি কি থাকবে এতে?

দেশে প্রচলিত আইন, সামাজিক ও ধর্মীয় দায়বদ্ধতার জন্য XYZ লিঃ এর কর্তৃপক্ষ কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মচারীর প্রাপ্য মজুরী ও অন্যান্য ভাতাদি যথাসময়ে ও যথাযথ পদ্ধতিতে পরিশোধ করতে অঙ্গীকারদ্ধ। অত্র ফ্যাক্টরীর যাত্রা শুরুর সময় হতে অদ্যাবধি কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে ও যথাযথ পদ্ধতিতে শ্রমিকদের সকল প্রকার প্রাপ্য পরিশোধ করেছে এবং আমরা এ কথা দৃঢ় চিত্তে ঘোষনা করতে পারি যে, ভবিষ্যতেও এর ব্যাতিক্রম ঘটবে না।

১। মজুরীঃ

মজুরী অর্থ টাকায় প্রকাশ করা হয় বা যায় এমন সকল পারিশ্রমিক বা চাকুরীর শর্তাবলী, প্রকাশ্য বা উহ্য যেবাবেই থাকুক না কেন পালন করা হলে কোন শ্রমিককে তার চাকুরীর জন্য বা কাজ করার জন্য প্রদেয় হয়, এবং উক্তরূপ প্রকৃতির অন্য কোন অতিরিক্ত প্রদেয় পারিশ্রমিকও এর অন্তর্ভূক্ত হবে।
—–বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা ২ (৪৫)

২। মজুরী পরিশোধের সময়ঃ

ক) কোন শ্রমিকের যে মজুরীকাল সম্পর্কে তার মজুরী প্রদেয় হয় সেই কাল শেষ হবার পরবর্তী ০৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে তার মজুরী পরিশোধ করতে হবে।
—–বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা ১২৩ (১)

খ) যে ক্ষেত্রে কোন শ্রমিকের চাকুরী তার অবসর গ্রহনের অবসান হয়, অথবা মালিক কর্তৃক তার ছাটাই, ডিসচার্জ, অপসারন, বরখাস্ত, অথবা অন্য কোর কারনে এর অবসান হয় সে ক্ষেত্রে উক্ত শ্রমিককে প্রদেয় সকল মজুরী তার চাকুরী অবসানের তারিখ হতে পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
—–বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা ১২৩ (২)

গ) সকল মজুরী কর্মদিবসে পরিশোধ করতে হবে।
—–বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা ১২৩ (৩)

৩। জরিমানা সম্পর্কে বিশেষ বিধানঃ

ক) কোন মজুরী মেয়াদে প্রদেয় মজুরীর এক দশমাংশের অধিক (অর্থাৎ সর্বোচ্চ 10% এর অধিক) পরিমান অর্থ শ্রমিককে জরিমানা করা যাবে না।

খ) কোন শ্রমিকের উপর আরোপিত জরিমানা কিস্তি ভিত্তিতে বা তার আরোপের তারিখ হতে ষাট দিন অতিক্রান্ত হবার পর আদায় করা যাবে না।

গ) কোন জরিমানা, যে অপরাধের জন্য আরোপিত হয়েছে সে অপরাধ সংঘটনের তারিখেই তা আরোপিত হয়েছে বলে গন্য হবে।

ঘ) সকল জরিমানা এর আদায় বিধি দ্বারা নির্ধারিত একটি রেজিষ্ট্রারে মালিক কর্তৃক লিপিবদ্ধ করা হবে, এবং আদায়কৃত জরিমানা কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শ্রমিকগণের কল্যানমূলক কাজে ব্যায় করা হবে।

—–বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা ২৫

৪। মজুরী হতে কর্তনযোগ্য বিষয়াদিঃ

এই অনুচ্ছেদ দ্বারা অনুমোদিত কর্তনের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ক্ষেত্রে কোন শ্রমিকের মজুরী হতে কিছুই কর্তন করা যাবে না।

ক। অনুচ্ছেদ (৩) এর অধীনে আরোপিত জরিমানা,

খ। কর্তব্য কাজে অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য কর্তন,

গ। কোন শ্রমিকের হেফাজতে থাকা কর্তৃপক্ষের কোন মালামাল ক্ষতি বা লোকসান, অথবা তিনি যে অর্থের জন্য হিসাব দিতে দায়ী সে অর্থ বিনষ্টির জন্য কর্তন, যদি উক্তরূপ ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য সরাসরি তার অবহেলা বা গাফিলতি দায়ি হয়।

ঘ। কোন অগ্রিম বা কর্জ আদায়ের জন্য কর্তন, অথবা কোন অতিরিক্ত মজুরী প্রদানের ক্ষেত্রে উহা সমন্বয়ের জন্য কর্তন,

ঙ। কোন আদালতের আদেশে কর্তন, অথবা উক্তরূপ কর্তনের আদেশ দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কর্তৃপক্ষের আদেশে কর্তন।

—–বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা ১২৫(১), (২),(২) এর উপধারা (ক),(খ),(গ),(চ)

৫. কর্তব্যে অনুপস্থিতির জন্য কর্তনঃ

ক) অনুচ্ছেদ (৪) এর উপানুচ্ছেদ (খ) এর অধীনে কর্মস্থল হতে অনুপস্থিতির কারনে কোন শ্রমিকের মজুরী হতে কর্তন কেবল তখনই করা যাবে যখন কার নিয়োগ এর শর্তানুযায়ী কাজ করার কথা তখন যদি তিনি সমস্ত সময়ের জন্য অথবা এর কোন অংশের জন্য অনুপস্থিত থাকে।

খ) উপানুচ্ছেদ (ক) এর অধীনে উক্তরূপ কর্তনের পরিমান কোন ক্ষেত্রেই অনুপস্থিতির সময়ের জন্য তাকে প্রদেয় মজুরীর পরিমানের অধিক হবে না।

গ) উপানুচ্ছেদ (ক) ও (খ) এর অধীনে মজুরী কর্তনের ক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে যদি দশ বা ততোধিক শ্রমিক এক যোগে বিনা নোটিশে এবং যুক্তিসংগত কারন ব্যতীত কাজে অনুপস্থিত থাকে, তাহলে প্রত্যেক শ্রমিকের নিকট হতে মজুরী কর্তনের সাথে অনধিক ০৮ (আট) দিনের মজুরীও যুক্ত করা যাবে যা তার নিয়োগের শর্তানুযায়ী নোটিশের পরিবর্তে কর্তৃপক্ষকে প্রদেয় হয়।

—–বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা ১২৬(১), (২)

৬. ক্ষতি বা বিনষ্টির জন্য মজুরী কর্তনঃ

অনুচ্ছেদ (৪) এর উপানুচ্ছেদ (গ) এর অধীনে কোন প্রকার কর্তনের জন্য শ্রমিকের অবহেলা বা গাফিলতির কারনে গঠিত ক্ষতি বা বিনষ্ঠির পরিমান অপেক্ষা বেশী হবে না, এবং উক্তরূপ কোন কর্তন করা যাবে না যতক্ষন না উক্ত কর্তনের জন্য ন্যায় বিচারের নীতি অনুসরন করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

—–বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, ধারা ১২৭(১)

নবীনতর পূর্বতন