মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে সকল বন্ধ রাখা কারখানা সমুহকে লে-অফ ঘোষনা
অদ্য 15-04-2020 ইং তারিখ BGMEA President রুবানা হক কর্তৃক কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বরাবর মহামারী করোনা ভাইরাস (COVID-19) এর কারনে সকল বন্ধ রাখা কারখানা সমুহকে লে-অফ ঘোষনার জন্য অনুরোধ করা হয়।
অর্থাৎ যারা ইতোমধ্যেই লে-অফ ঘোষনা করেছেন বা যারা এখনো লে-অফ ঘোষনা করেন নি সবার জন্যই লে-অফ হিসেবে ঘোষনার দাবী করা হয়।
আবেদন পত্রটির হুবুহু নমুনা কপি নিছে দেওয়া হলঃ
বিজিএ/এডমিন/2020/3905 তারিখঃ 15ইং এপ্রিল,2020
বরাবর,
মহাপরিদর্শক
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর
শ্রম ভবন, 196, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি
বিজয়নগর, ঢাকা-1000
বিষয়ঃ মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে সকল বন্ধ রাখা কারখানা সমুহকে লে-অফ ঘোষনা প্রসঙ্গে।
জনাব,
আপনি অবগত আছেন যে, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হয়ে মহামারী রূপ নেয়ার কারনে আর্ন্তজাতিক ক্রেতাগণ তাদের ক্রয়াদেশ বাতিলসহ চলমান অর্ডারের উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেছে। এ ছাড়াও ক্রেতাগণ উৎপাদিত পণ্য শিপমেন্ট না করা এবং মঞ্জুরকৃত ফেব্রিক্স না কাটার জন্য নির্দেশনা জারী করেছেন। করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় সরকার মার্চ মাসের চতুর্থ সপ্তাহে যখন বন্ধের ঘোষনা দেয় তখন কারখানা মালিকদের ধারণা ছিল স্বল্প সময়ের মধ্যে কারখানা খুলে দেয়া যাবে। তাই মালিকগণ হয়ে কেহ শ্রম আইনের কোন ধরনের ধারা উল্লেখ না করে বন্ধ ঘোষনা করে, কেহ বা আইনের 12 এবং 16 ধারার বিধান উল্লেখ করে বন্ধের ঘোষনা দেয়। যদিও এ ধরনের পরিস্থিতিতে শ্রম আইনের 12 এবং 16 ধারার বিধান ছাড়া বন্ধের কোন বিধান নেই। ইতোমধ্যে অধিকাংশ কারখানা কর্তৃপক্ষ মার্চ,2020 মাসের মজুরী পরিশোধ করেছেন। এপ্রিল মাসের মজুরী হিসাবকালে সরকার কর্তৃক ঘোষিত 5000 কোটি ঋণের টাকার গ্রহণের জন্য আবেদন করতে গিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এমতাবস্থায় যেসকল কারখানা কোন ধরণের ধারা উল্লেখ না করে বন্ধ ঘোষনা করে এবং যেসকল কারখানা আইনের 12 এবং 16 ধারার বিধান উল্লেখ করে বন্ধের ঘোষনা দেয় সকল কারখানাকে লে-অফ হিসেবে গন্য করে আপনার দপ্তর থেকে সুস্পষ্ট ঘোষনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ধন্যবাদান্তে,
রুবানা হক
সভাপতি